সমরেশ মজুমদারের মনুষের মা
সমরেশ মজুমদারের মনুষের মা
বুনো ঝোপ এবং লতা বন। ধর্মনারায়ণের পাশে নদী স্বপ্নে জানতে পারে। সেখানে মা একটি বেল গাছের নিচে মাটিতে শুয়ে আছেন। মাটি খুঁড়ে চার ফুট উচ্চতার একটি মূর্তিও পাওয়া গেছে। দ্রুত মন্দির তৈরি করেন। ধর্মনারায়ণ বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করেন। এত বছর পর সেই মন্দিরকে মায়ের বাড়ি বলা হয়। ধর্মনারায়ণের নাতি উদিতনারায়ণের কন্যা বিম্ববতী এবং তার স্বামী মুক্তনারায়ণ বর্তমানে ভক্তি সহকারে মন্দিরের দেখাশোনা করেন। তারাপদ খয়পাট মন্দিরের বর্তমান পুরোহিতের পুত্র। স্কুলে না গিয়ে সে নদীর ধারে বসে মায়ের গান গায়, মেঘ দেখলে নাচে, সহজ ভাষায় জ্ঞানগর্ভ কথা বলে। কামাখ্যাপ্রসাদের কন্যা সরলাবালার বিয়ে হয়েছিল তারাপদকে। সরলা মেয়ে হওয়ায় বাবার বাড়িতে থাকে। কয়েক বছর পর যুবতী সরলাবালা তার স্বামীর দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়ে তার পৈতৃক বাড়িতে ফিরে আসেন। তারাপদ মাতৃ সাধনা আত্মহানি। বিম্ববতীর হস্তক্ষেপের পর সরলাবালা তার স্বামীর কাছে ফিরে আসে কিন্তু তাদের বিবাহিত জীবন নেই। সরলা তার সাধু স্বামীর কথায় নিজেকে গৃহবন্দী করে রেখেছিল। তার জীবন সম্পূর্ণ বদলে গেল। তারাপদ ধর্মচর্চায় ব্যাঘাত না ঘটিয়ে সর্ববালা নিজের জীবন খুঁজে পান। সরলাবালা দারিদ্র্যের কষাঘাতে ভুগছে এমন হাজারো দরিদ্র মেয়ের আশ্রয়স্থল। মা সমরেশ মজুমদারের উপন্যাস 'মানুষের মা' এক অদ্ভুত উত্তরণের গল্প বলে। একজন গ্রামের মেয়ে ধীরে ধীরে নারীশক্তির জাগরণে এই আখ্যানে রক্তমাংসের দেবীতে পরিণত হয়।
শেয়ার করুন
* We strive to ensure the accuracy of the book information provided on our website. However, due to the limitations of available data, some details may be incorrect. This is purely unintentional, and we sincerely apologize for any inconvenience this may cause. If you identify any inaccuracies, please notify us so that we can make the necessary corrections. Thank you for your understanding and cooperation.