কমল কৃষ্ণ মল্লিকের খোলা হাওয়া

বিয়ের দুই বছরের মধ্যেই অতীশ ও শাস্বতী হঠাৎ করে পরিবার ছেড়ে একটি ফ্ল্যাটে চলে যান। মন থেকে মেনে নিতে পারছেন না মমতা। অসুস্থ হয়ে পড়েন। কর্তব্যবোধ থেকেই মমতা তার ছোট ছেলেকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। মনীশ তার একগুঁয়ে অবস্থানের কারণে আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন। গভীর রাতে হঠাৎ মনীশকে ফোন করে মনস্বিতা। ফোনালাপ ধীরে ধীরে প্রসারিত হয়। বিশুদ্ধ ভালবাসা যোগাযোগের মধ্যে মূর্ত হয়। মনীশ শান্ত। সে মনস্বিতাকে চেনে না। শাশ্বতী পারিবারিক সম্পর্কের মূল্যবোধকে দামী জিনিসপত্র অর্জনের জন্য ক্রমাগত চাপের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দেয়। স্ত্রীর দাবি থেকে মুক্তি পেতে, অতীশ পদোন্নতি নিয়ে পুরুলিয়ায় চলে যায়। মমতা বিদ্যারত্নমশাইয়ের ভবিষ্যদ্বাণীতে অগাধ বিশ্বাস নিয়ে অপেক্ষা করছেন। কমলকৃষ্ণ মল্লিকের খোলা হাওয়া উপন্যাসে রয়েছে পরিচিত জীবনের এক অদ্ভুত অনুভূতি।