সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় দ্বারা উপন্যাস সমগ্র 11
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় দ্বারা উপন্যাস সমগ্র 11
ষাটের দশকে কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় যখন তাঁর প্রথম উপন্যাস 'যুবক্যুবতীর আপন খেয়ালে' কোথাও ছাপানোর তাগিদ ছাড়াই লেখেন, তখন বাংলা উপন্যাসের নানা দিক উঠে আসে। আমরা এই সময়ের কাল্পনিক চরিত্রগুলিকে রোমান্সের ছায়ায় নয়, আত্মদর্শনে, আত্ম-শোষণে মুক্তি খুঁজতে দেখি। তরুণরা জীবনের অর্থ খুঁজতে বেরিয়েছে। ঠিক নিজেদের মত। তবে জীবনের ছন্দ ভেঙ্গে গেছে, শব্দগুলো তার অর্থ হারিয়েছে। তবু পাঠক তাদের আরতি চিনতে ভুল করেননি। এই প্রেক্ষাপটকে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় নিজেই 'অব্যক্ত অস্থিরতা' হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। এই অস্থিরতার মূলে ছিল অভিজ্ঞতা চাওয়ার গভীর বেদনা। কথাসাহিত্যিক সুনীল 'আত্মপ্রকাশ'-এ তার নির্ণায়ক আত্মপ্রকাশ করেন। এই উপন্যাস থেকে তিনি যেভাবে বাংলা কথাসাহিত্যের সীমাহীন ভূগোল পেরিয়ে তাঁর যাত্রা শুরু করেছিলেন তা এক বিস্ময়কর কৃতিত্ব। তার যাত্রা এখনো থামেনি। বাংলা উপন্যাসের জগতে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এখন নিজের মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠান। একজন সফল ঔপন্যাসিকের জ্ঞান, চরিত্রায়নের দক্ষতা, একজন নিখুঁত মানব চিত্র তৈরি করা, সময়ের বোধ, মূল্যবোধ, একটি ভিন্ন গল্প বেছে নেওয়ার দক্ষতা, জীবন সম্পর্কে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করার বিভ্রান্তি, সত্যের সন্ধান। , সৌন্দর্য - এসবই তার কৃতিত্ব। তিনি প্রতিটি দিক থেকে অনন্য এবং উজ্জ্বল। তাঁর উপন্যাসগুলো বাংলা কথাসাহিত্যের সম্পদ। তাঁর প্রথম উপন্যাস থেকে শুরু করে একবিংশ শতাব্দীর শুরুতে লেখা উপন্যাস পর্যন্ত সুনীল সমানভাবে জীবন্ত ও প্রাণবন্ত। তাঁর হাতেই উপন্যাসের শিল্পরূপ পেয়েছে নতুন মর্যাদা। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা সব উপন্যাসই কিস্তিতে প্রকাশিত হয়েছে।
শেয়ার করুন
* We strive to ensure the accuracy of the book information provided on our website. However, due to the limitations of available data, some details may be incorrect. This is purely unintentional, and we sincerely apologize for any inconvenience this may cause. If you identify any inaccuracies, please notify us so that we can make the necessary corrections. Thank you for your understanding and cooperation.